গোলশূন্য ইরান-মরক্কোর প্রথমার্ধ

দুই মুসলিম দেশের লড়াই। সেন্ট পিটার্সবার্গে অবশ্য তাদের খেলা দেখার জন্য গ্যালারি ছিল ভর্তি। আগের ম্যাচে যেমন মিসর-উরুগুয়ের ম্যাচে প্রায় ৫ হাজারেরও বেশি আসন খালি ছিল, তেমনটা দেখা যায়নি সেন্ট পিটার্সবার্গে। দুই সম শক্তির দলের লড়াইটা ছিল শুরু থেকেই উপভোগ্য। আক্রমণের পর পাল্টা আক্রমণ। তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বীতা। কিন্তু গোলের খেলায় শেষ পর্যন্ত গোলই হলো না। দুই দল প্রথমার্ধ শেষ করলো গোলশূন্যভাবেই।

দ্বিতীয় মিনিটেই গোল লক্ষ্যে শট। ইরানের বক্সের বাম পাশ থেকে গোলমুখে শটটি নেন তিনি। যদিও তার ডান পায়ের শটটি সাইড বারের পাশ দিয়ে চলে যায় বাইরে। শুরু থেকেই আক্রমণের তীব্রতা মরক্কোর। ৫ম মিনিটে গোলের দারুণ একটি সুযোগ তৈরি করে মরক্কো। নরদিন আমরাবাতের ক্রস থেকে বল পেয়ে দুরহ কোণ থেকে হেড করেন ইউনুস বেলহানদা। যে কারণে তার হেডটি চলে যায় বারের ওপর দিয়ে।

আক্রমণ শানানোর পাশাপাশি দারুণ ডিফেন্সও তৈরি করে মরক্কো। আফ্রিকান দেশটি যেন নিজ মহাদেশের রেকর্ড অক্ষুন্ন করার লক্ষ্যেই মাঠে নামে সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়ামে। বিশ্বকাপে আফ্রিকান-এশিয়ান দেশগুলোর ৫ বারের মুখোমুখি লড়াইয়ে একবারও হারেনি আফ্রিকানরা। মরক্কোর সামনে সেই রেকর্ড অক্ষুন্ন রাখারও কঠিন এক চ্যালেঞ্জ। ২০১০ সালে ক্যামেরুনকে জাপান ১-০ গোলে হারানোর পর থেকে ৫ ম্যাচের মধ্যে ৩টিতে জিতেছে আফ্রিকানরা। ২টি হয়েছে ড্র।

৮ম মিনিটে আইয়ুব এল কা’বির বাম পায়ের শট চলে যায় পোস্টের বাম কোন ঘেঁষে। ১২ মিনিটে ইরান প্রথম সুযোগ তৈরি করে। মরক্কোর রক্ষণভাগে বল নিয়ে গেলেও তুমুল বাধার মুখে ফ্রি কিক পায় ইরান। ২৫ গজ দুর থেকে শট নেন এহসান হাজসাফি। আমিরি বল পেয়ে সেটি ক্রস করেন আজমাউনের উদ্দেশ্যে। কিন্তু জটলার মধ্যে মোহাম্মেদি বল পেয়েও সেটিকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন।